Hi

ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে গার্মেন্টস শ্রমিকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারের একটি ভবন থেকে তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকাল সকড়ে ৫টার দিকে ভাড়া বাসার ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার গলিত লাশ উদ্ধার করে।
মৃত তরিকুল ইসলাম পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক। তিনি সদর উপজেলার মহারাজপুর কেশবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মৃত তরিকুল ইসলামের ভাই আজিজুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তার ছোট ভায়ের কোন খোঁজ ছিল না। রোববার তরিকুলের স্ত্রীর পাঠানো তালাকনামা বাড়িতে পৌছালে তরিকুলের খোঁজখবর শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। পরে বিষয়খালী বাজারে ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে তরিকুলের গলিত মরদেহ দেখতে পায় তার স্বজনরা।

তরিকুলের ভাগ্নে ইয়াসিন জানান, তার মামী জুনিয়া খাতুন তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর হয়তো মামা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তিনি জানান, তার মামা গার্মেন্টেসে চাকরী করে অনেক টাকা জমিয়েছিল। টাকা শেষ হওয়ার পর সংসারে টানাটানি শুরু হয়। এক পর্যয়ে তার মামী তালাক দিয়ে চলে যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মরদেহ দেখে চেনার উপায় নেই। হয়তো এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে মারা গেছে। শরীরের চামড়া পঁচে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগ বা ঘুমের বড়ি খেয়ে সুইসাইড করতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

ঝিনাইদহে গার্মেন্টস শ্রমিকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ০১:১৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারের একটি ভবন থেকে তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকাল সকড়ে ৫টার দিকে ভাড়া বাসার ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার গলিত লাশ উদ্ধার করে।
মৃত তরিকুল ইসলাম পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক। তিনি সদর উপজেলার মহারাজপুর কেশবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মৃত তরিকুল ইসলামের ভাই আজিজুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তার ছোট ভায়ের কোন খোঁজ ছিল না। রোববার তরিকুলের স্ত্রীর পাঠানো তালাকনামা বাড়িতে পৌছালে তরিকুলের খোঁজখবর শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। পরে বিষয়খালী বাজারে ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে তরিকুলের গলিত মরদেহ দেখতে পায় তার স্বজনরা।

তরিকুলের ভাগ্নে ইয়াসিন জানান, তার মামী জুনিয়া খাতুন তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর হয়তো মামা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তিনি জানান, তার মামা গার্মেন্টেসে চাকরী করে অনেক টাকা জমিয়েছিল। টাকা শেষ হওয়ার পর সংসারে টানাটানি শুরু হয়। এক পর্যয়ে তার মামী তালাক দিয়ে চলে যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মরদেহ দেখে চেনার উপায় নেই। হয়তো এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে মারা গেছে। শরীরের চামড়া পঁচে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগ বা ঘুমের বড়ি খেয়ে সুইসাইড করতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।