Hi

ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

ঝিনাইদহে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণের সময় টাকা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসোন্তাষ ছড়িয়েছে। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়াতে জেলার প্রাইমারি স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান করা হয়। এই প্রজেক্টরগুলো বরিশাল থেকে ঝিনাইদহে আনা হয়। সরকারী ভাবে এ সব মালামাল বহনের খরচ যোগান দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যেক স্কুল থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল মজিদ নামে এক প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, তার স্কুলে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান করা হয়েছে। বিতরণের দিন তার কাছ থেকে দেড়’শ টাকা গ্রহন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। শৈলকুপা ও হরিনাকুন্ডুর একাধিক শিক্ষক তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করে বলে প্রায় শিক্ষা অফিসকে নানা ছুতোয় টাকা দিতে হচ্ছে।
জেলার একাধিক শিক্ষক জানিয়েছে, ঝিনাইদহ, শৈলকুপার ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ১৫০ টাকা করে এবং কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে ২০০ টাকা করে গোট জেলা থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকার চাঁদা তোলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাঁদপুরের একজন শিক্ষক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৫২টি সরকারী প্রাইমারি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। ভাড়া বাবদ শিক্ষা অফিসার ২০০ করে মোট ১০ হাজার ৪০০ টাকা নিয়েছেন। এরমধ্যে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিস নিয়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা। একই ভাবে কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকেও টাকা গ্রহন করা হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
শামারুখ পারভীন রুবি নাম এক শিক্ষক বলেন, বরিশাল থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আনতে ট্রাক ভাড়া কি লক্ষাধীক টাকা হবে ? যদি না হয় তবে এই অতিরিক্ত টাকা কার পকেটে আছে তা খুজে বের করতে হবে। তিনি বলেন প্রায়ই এভাবে নানা অজুহাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা টাকা নিয়ে থাকেন। এর একটা বিহীত হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনান্দ কিশোর সাহা বলেন, জেলায় ৫৭৭ টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বরিশাল থেকে এই প্রজেক্টর আনা হয়েছে, সেখানে লোড আনলোড এবং বহনের খরচ আছে। সরকার থেকে কোন খরচ না দেওয়ায় প্রত্যেক স্কুল থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন বাড়তি কোন টাকা নেওয়া হয়নি। যদি এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে সেই দায়ভার তার।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

আপডেট : ০৬:২০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

ঝিনাইদহে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণের সময় টাকা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসোন্তাষ ছড়িয়েছে। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়াতে জেলার প্রাইমারি স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান করা হয়। এই প্রজেক্টরগুলো বরিশাল থেকে ঝিনাইদহে আনা হয়। সরকারী ভাবে এ সব মালামাল বহনের খরচ যোগান দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যেক স্কুল থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল মজিদ নামে এক প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, তার স্কুলে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান করা হয়েছে। বিতরণের দিন তার কাছ থেকে দেড়’শ টাকা গ্রহন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। শৈলকুপা ও হরিনাকুন্ডুর একাধিক শিক্ষক তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করে বলে প্রায় শিক্ষা অফিসকে নানা ছুতোয় টাকা দিতে হচ্ছে।
জেলার একাধিক শিক্ষক জানিয়েছে, ঝিনাইদহ, শৈলকুপার ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ১৫০ টাকা করে এবং কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে ২০০ টাকা করে গোট জেলা থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকার চাঁদা তোলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাঁদপুরের একজন শিক্ষক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৫২টি সরকারী প্রাইমারি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। ভাড়া বাবদ শিক্ষা অফিসার ২০০ করে মোট ১০ হাজার ৪০০ টাকা নিয়েছেন। এরমধ্যে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিস নিয়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা। একই ভাবে কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকেও টাকা গ্রহন করা হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
শামারুখ পারভীন রুবি নাম এক শিক্ষক বলেন, বরিশাল থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আনতে ট্রাক ভাড়া কি লক্ষাধীক টাকা হবে ? যদি না হয় তবে এই অতিরিক্ত টাকা কার পকেটে আছে তা খুজে বের করতে হবে। তিনি বলেন প্রায়ই এভাবে নানা অজুহাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা টাকা নিয়ে থাকেন। এর একটা বিহীত হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনান্দ কিশোর সাহা বলেন, জেলায় ৫৭৭ টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বরিশাল থেকে এই প্রজেক্টর আনা হয়েছে, সেখানে লোড আনলোড এবং বহনের খরচ আছে। সরকার থেকে কোন খরচ না দেওয়ায় প্রত্যেক স্কুল থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন বাড়তি কোন টাকা নেওয়া হয়নি। যদি এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে সেই দায়ভার তার।