Hi

ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে সুদীপের মৃত্যুতে ২০ দিনেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেই, সহপাঠীদের ৭ দিনের আল্টিমেটাম

ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী সুদীপ জোয়ার্দারের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ও সন্দেহের দানা বাঁধছে। ঘটনার ২০ দিন পার হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার সহপাঠীরা ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সুদীপের মৃত্যুকে ‘সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সুদীপের বাল্য বন্ধু সওগাতুল ইসলাম হিমেল লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ জুলাই রাতে সুদীপের মৃত্যু হয় এবং এটি আত্মহত্যা নয়। লিখিত বক্তব্যে হিমেল আরো বলেন, মরদেহে মাথা, পিঠ ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মৃত্যুর পর তার বাবা, সৎ মা ও সৎ ভাই দাফনের তাড়াহুড়া করেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবিদ হাসান নয়ন, বাদশা বুলবুল, ফাহাদ মাহমুদ, প্রভাত রায়, দেব প্রসাদ রায়, মেহেদী হাসান,শোভন সাহা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এম এম মনিরুজ্জামান, সামিউল হক,স্বাধীন রহমানসহ প্রতিবেশি এবং বাল্যবন্ধুরা।

লিখিত বক্তব্যে হিমেল আরো বলেন, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন সুদীপ পারিবারিকভাবে অবহেলা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নিয়েও তাকে মাত্র ১৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হতো বলে তারা উল্লেখ করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো না আসায় তদন্তের গতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বক্তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এদিকে, পুলিশ বা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি ঝিনাইদহ ও ঢাকায় একাধিক মানববন্ধন, বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

ঝিনাইদহে সুদীপের মৃত্যুতে ২০ দিনেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেই, সহপাঠীদের ৭ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেট : ১০:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী সুদীপ জোয়ার্দারের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ও সন্দেহের দানা বাঁধছে। ঘটনার ২০ দিন পার হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার সহপাঠীরা ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সুদীপের মৃত্যুকে ‘সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সুদীপের বাল্য বন্ধু সওগাতুল ইসলাম হিমেল লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ জুলাই রাতে সুদীপের মৃত্যু হয় এবং এটি আত্মহত্যা নয়। লিখিত বক্তব্যে হিমেল আরো বলেন, মরদেহে মাথা, পিঠ ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মৃত্যুর পর তার বাবা, সৎ মা ও সৎ ভাই দাফনের তাড়াহুড়া করেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবিদ হাসান নয়ন, বাদশা বুলবুল, ফাহাদ মাহমুদ, প্রভাত রায়, দেব প্রসাদ রায়, মেহেদী হাসান,শোভন সাহা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এম এম মনিরুজ্জামান, সামিউল হক,স্বাধীন রহমানসহ প্রতিবেশি এবং বাল্যবন্ধুরা।

লিখিত বক্তব্যে হিমেল আরো বলেন, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন সুদীপ পারিবারিকভাবে অবহেলা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নিয়েও তাকে মাত্র ১৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হতো বলে তারা উল্লেখ করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো না আসায় তদন্তের গতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বক্তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এদিকে, পুলিশ বা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি ঝিনাইদহ ও ঢাকায় একাধিক মানববন্ধন, বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।