ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নাগরিক সেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ পুলিশের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ “অনলাইন জিডি” এখন ঝিনাইদহ জেলায় চালু হচ্ছে। আগামী ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে ঝিনাইদহ জেলার নাগরিকরা ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি করার সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার অগ্রগতির ফলস্বরূপ এখন নাগরিকদের থানায় না গিয়েও সাধারণ ডায়েরি (GD) করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটি নাগরিক সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
📌 কী বিষয়গুলোতে অনলাইন জিডি করা যাবে:
অনলাইন জিডির মাধ্যমে নাগরিকরা নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে অভিযোগ করতে পারবেন—
-
হারানো জিনিসপত্র যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ATM কার্ড
-
ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন বা সৎকার করা মৃতদেহ সম্পর্কিত তথ্য
-
পারিবারিক, ব্যক্তিগত বা সামাজিক বিবাদের সাধারণ বিবরণ
-
হুমকি, সন্দেহজনক চলাফেরা বা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ
🌐 অনলাইন জিডি করার ওয়েবসাইট:
📍 https://gd.police.gov.bd
এ ওয়েবসাইটটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে এবং সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে প্রবেশ করা যাবে।
🖱️ অনলাইন জিডি করার ধাপসমূহ:
-
উপরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
-
ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ঘটনার তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
-
“File a New GD” অপশন বেছে নিয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য পূরণ করতে হবে।
-
যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে তার নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
-
জমা দেওয়ার পর একটি Acknowledgement Number প্রদান করা হবে।
-
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে বিষয়টি যাচাই বা অনুসন্ধান করা যাবে।
📌 অনলাইন জিডির বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতা:
-
এটি শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
-
গুরুতর অপরাধ বা তাৎক্ষণিক পুলিশ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রে সরাসরি থানায় যেতে হবে।
-
ভুল তথ্য প্রদান করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
-
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে) আবেদন নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা থাকবে।
-
যেকোনো সময় পুলিশ আবেদনকারীকে অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করতে পারে।
-
বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন “BD Police Helpline” বা “BD Police App”-এর সঙ্গেও এই সেবা সমন্বিত।
🗣️ পুলিশ বিভাগের ভাষ্যমতে:
“আমাদের লক্ষ্য জনগণের আস্থা ও সেবার মান বৃদ্ধি করা। ঝিনাইদহসহ দেশের প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে অনলাইন জিডি সেবা সম্প্রসারণ করা হবে।”
এই অনলাইন জিডি ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে থানার সঙ্গে নাগরিকের যোগাযোগ সহজতর হবে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে অভিযোগ জানাতে পারবেন।