ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি বিজিবি। মরদেহটি যেখানে পাওয়া গেছে, সেটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার মধুপুর এলাকা। এর বিপরীতে বাংলাদেশের মহেশপুরের গোপালপুর গ্রাম।
মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃতদেহটি গোপালপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের বলে আমরা জেনেছি। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে কারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। ঘটনাটি দিবাগত রাত একটার দিকে ঘটে।’
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশি মহেশপুর সীমান্তের যাদবপুর এলাকাসংলগ্ন গোপালপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা চোরাকারবারি দলের সদস্য। সে সময় ভারতের অভ্যন্তরে অন্য কয়েকজন চোরাকারবারির সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। সেখানে কারও দ্বারা তাঁরা আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে আজ সকালে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের ওপারে আঘাতপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বিএসএফ মারফত তাঁরা জানতে পারেন, সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারেননি। বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।