Hi

ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে মায়ের ওপর অভিমান, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

ঝিনাইদহের মহেশপুরে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে লিমা খাতুন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী। সোমবার সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের মাঠিলা গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত লিমা একই গ্রামের লাল্টু মণ্ডলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক সদস্যরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোনো এক পারিবারিক বিষয় নিয়ে লিমার সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। অভিমানে নিজের শোবার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে দেখেন, লিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা জানায়, লিমা শান্ত স্বভাবের ও লেখাপড়ায় আগ্রহী ছিল। পরিবারে স্বল্প আয়ের অভাব-অনটনের মাঝেও সে স্কুলে নিয়মিত যেত। তার এমন অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, “মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যুর একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

স্থানীয় শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন, পরিবারে পারস্পরিক বোঝাপোড়ার ঘাটতি এবং আবেগ সামলানোর অক্ষমতা থেকে শিশু-কিশোরদের এমন পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তারা অভিভাবকদের প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একটি ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝিতে ঝরে গেল একটি কোমল প্রাণ। এই ঘটনা যেন আর কোনো পরিবারে না ঘটে—এমনই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কৃষককে হয়রানি ও অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মহেশপুরে মায়ের ওপর অভিমান, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট : ০২:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের মহেশপুরে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে লিমা খাতুন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী। সোমবার সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের মাঠিলা গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত লিমা একই গ্রামের লাল্টু মণ্ডলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক সদস্যরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোনো এক পারিবারিক বিষয় নিয়ে লিমার সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। অভিমানে নিজের শোবার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে দেখেন, লিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা জানায়, লিমা শান্ত স্বভাবের ও লেখাপড়ায় আগ্রহী ছিল। পরিবারে স্বল্প আয়ের অভাব-অনটনের মাঝেও সে স্কুলে নিয়মিত যেত। তার এমন অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, “মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যুর একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

স্থানীয় শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন, পরিবারে পারস্পরিক বোঝাপোড়ার ঘাটতি এবং আবেগ সামলানোর অক্ষমতা থেকে শিশু-কিশোরদের এমন পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তারা অভিভাবকদের প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একটি ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝিতে ঝরে গেল একটি কোমল প্রাণ। এই ঘটনা যেন আর কোনো পরিবারে না ঘটে—এমনই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।