Hi

ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের অসচ্ছলতা ৬৩% বেড়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট : ১০:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৩৪ জন দেখেছে

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দাম, সুদের উচ্চ হার ও পণ্য বিক্রির ফরমাশ কমে যাওয়ার কারণে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোম্পানি বেকায়দায় পড়েছে। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যবসায়িক ব্যর্থতার দরুন দেশটির উৎপাদন খাতে সার্বিকভাবে অসচ্ছলতার হার ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। আরও বড় উদ্বেগের খবর হলো, যুক্তরাজ্যে কিছু ব্যবসায় আগামী অক্টোবর নাগাদ জ্বালানির বিল ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান–এর।

২০২১–২২ সালে যুক্তরাজ্যে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৪টি। এ সংখ্যা তার এক বছর আগে ২০২০–২১ সালে ছিল ৮৯৩টি। ইনসলভেন্সি সার্ভিসের সদ্য তৈরি পরিসংখ্যানে এমন তথ্য–উপাত্ত উঠেছে, যা বিশ্লেষণ করেছে অ্যাকাউন্ট্যান্সি ফার্ম তথা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাজার্স।

ঋণের অর্থ ফুরিয়ে যাওয়া এবং দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় আরও অনেক কোম্পানি আগেভাগেই স্বেচ্ছায় বন্ধ হয়ে গেছে।

ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ তথা উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে মহামারি, ব্রেক্সিটজনিত বাণিজ্য বিধিনিষেধ, সাম্প্রতিক কালের দক্ষতার ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান মজুরি চাপে হাজার হাজার কোম্পানি অসচ্ছলতার মুখে পড়েছে। কিছু ব্যবসায় জ্বালানি বিল আগামী অক্টোবরে ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো নির্দিষ্ট মূল্যের চুক্তি পুনরায় আলোচনা করা হয়।

যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের লবি গ্রুপ মেক ইউকে জানিয়েছে, তাদের অনেক সদস্য ব্যবসা করার অতিরিক্ত খরচ মেটাতে এখন জোর লড়াই করছে। তাদের আরও পতন হওয়া থেকে রক্ষা করতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বাথ অ্যাকোয়া গ্লাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানেট ডলান জানান, তাঁর গ্লাস তৈরির চুল্লিগুলোকে সচল রাখার বিল অক্টোবরে ১৪ হাজার পাউন্ড থেকে বেড়ে ১ লাখ ৩১ হাজার পাউন্ডে উন্নীত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভয়ানক ব্যাপার হলো অনিশ্চয়তা। দেশে সেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

ম্যাজার্স বলেছে, যুক্তরাজ্যের উৎপাদকেরা সরবরাহব্যবস্থায় বিঘ্ন হওয়ার কারণে কাঁচামালের দাম বাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শ্রমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এসব মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে তাঁদের।

কর্নওয়াল ইনসাইট–এর বিশ্লেষকদের মতে, চলতি ছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক খাতে জ্বালানির ব্যয় গড়ে ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের অসচ্ছলতা ৬৩% বেড়েছে

আপডেট : ১০:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দাম, সুদের উচ্চ হার ও পণ্য বিক্রির ফরমাশ কমে যাওয়ার কারণে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোম্পানি বেকায়দায় পড়েছে। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যবসায়িক ব্যর্থতার দরুন দেশটির উৎপাদন খাতে সার্বিকভাবে অসচ্ছলতার হার ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। আরও বড় উদ্বেগের খবর হলো, যুক্তরাজ্যে কিছু ব্যবসায় আগামী অক্টোবর নাগাদ জ্বালানির বিল ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান–এর।

২০২১–২২ সালে যুক্তরাজ্যে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৪টি। এ সংখ্যা তার এক বছর আগে ২০২০–২১ সালে ছিল ৮৯৩টি। ইনসলভেন্সি সার্ভিসের সদ্য তৈরি পরিসংখ্যানে এমন তথ্য–উপাত্ত উঠেছে, যা বিশ্লেষণ করেছে অ্যাকাউন্ট্যান্সি ফার্ম তথা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাজার্স।

ঋণের অর্থ ফুরিয়ে যাওয়া এবং দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় আরও অনেক কোম্পানি আগেভাগেই স্বেচ্ছায় বন্ধ হয়ে গেছে।

ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ তথা উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে মহামারি, ব্রেক্সিটজনিত বাণিজ্য বিধিনিষেধ, সাম্প্রতিক কালের দক্ষতার ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান মজুরি চাপে হাজার হাজার কোম্পানি অসচ্ছলতার মুখে পড়েছে। কিছু ব্যবসায় জ্বালানি বিল আগামী অক্টোবরে ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো নির্দিষ্ট মূল্যের চুক্তি পুনরায় আলোচনা করা হয়।

যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের লবি গ্রুপ মেক ইউকে জানিয়েছে, তাদের অনেক সদস্য ব্যবসা করার অতিরিক্ত খরচ মেটাতে এখন জোর লড়াই করছে। তাদের আরও পতন হওয়া থেকে রক্ষা করতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বাথ অ্যাকোয়া গ্লাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানেট ডলান জানান, তাঁর গ্লাস তৈরির চুল্লিগুলোকে সচল রাখার বিল অক্টোবরে ১৪ হাজার পাউন্ড থেকে বেড়ে ১ লাখ ৩১ হাজার পাউন্ডে উন্নীত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভয়ানক ব্যাপার হলো অনিশ্চয়তা। দেশে সেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

ম্যাজার্স বলেছে, যুক্তরাজ্যের উৎপাদকেরা সরবরাহব্যবস্থায় বিঘ্ন হওয়ার কারণে কাঁচামালের দাম বাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শ্রমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এসব মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে তাঁদের।

কর্নওয়াল ইনসাইট–এর বিশ্লেষকদের মতে, চলতি ছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক খাতে জ্বালানির ব্যয় গড়ে ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।