Hi

ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত্রুতার আগুনে পুড়ে ছাই হলো এতিমের পানের বরজ

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মুরারীদহ গ্রামের শিপনের একটি পানের বরজ ঘাস পোড়ানো বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার গভীর রাতে এক বিঘা জমির পানের বরজ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় শিপনের মা সখি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ বরজটি ছিল একটি হতদরিদ্র এতিম পরিবারের একমাত্র জীবিকার উৎস। বরজ মালিক শিপন জানান, “রাতের আঁধারে কারা এমন সর্বনাশ করলো জানি না। ঘাস মারার বিষ ছিটিয়ে পুরো বরজটা নষ্ট করে দিয়েছে। এক বিঘা জমির ধরন্ত পান একেবারে শেষ হয়ে গেছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। এই ক্ষতি কোনোভাবে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না।”
তিনি বলেন, “আমার বড় ভাই চার বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া দুই মেয়ে ও স্ত্রী, আমার অসুস্থ মা-বাবা, আমার নিজের সন্তান ও স্ত্রী মিলিয়ে আমরা ৮ জন এই বরজের আয়ের ওপর নির্ভর করতাম। এখন আমরা দাঁড়াবো কোথায়?”
ঘটনার পর থেকে পরিবারটির আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের বাতাস। স্থানীয়রা জানান, শিপন একজন পরিশ্রমী মানুষ। শত্রুতার জেরে এ ধরনের বর্বর ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।
এদিকে স্থানীয় কৃষক মহলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা এ ঘটনাকে ‘কৃষকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

শত্রুতার আগুনে পুড়ে ছাই হলো এতিমের পানের বরজ

আপডেট : ০১:০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মুরারীদহ গ্রামের শিপনের একটি পানের বরজ ঘাস পোড়ানো বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার গভীর রাতে এক বিঘা জমির পানের বরজ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় শিপনের মা সখি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ বরজটি ছিল একটি হতদরিদ্র এতিম পরিবারের একমাত্র জীবিকার উৎস। বরজ মালিক শিপন জানান, “রাতের আঁধারে কারা এমন সর্বনাশ করলো জানি না। ঘাস মারার বিষ ছিটিয়ে পুরো বরজটা নষ্ট করে দিয়েছে। এক বিঘা জমির ধরন্ত পান একেবারে শেষ হয়ে গেছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। এই ক্ষতি কোনোভাবে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না।”
তিনি বলেন, “আমার বড় ভাই চার বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া দুই মেয়ে ও স্ত্রী, আমার অসুস্থ মা-বাবা, আমার নিজের সন্তান ও স্ত্রী মিলিয়ে আমরা ৮ জন এই বরজের আয়ের ওপর নির্ভর করতাম। এখন আমরা দাঁড়াবো কোথায়?”
ঘটনার পর থেকে পরিবারটির আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের বাতাস। স্থানীয়রা জানান, শিপন একজন পরিশ্রমী মানুষ। শত্রুতার জেরে এ ধরনের বর্বর ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।
এদিকে স্থানীয় কৃষক মহলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা এ ঘটনাকে ‘কৃষকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।