Hi

ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহাদাতে কারবালা ইমানের পরীক্ষার চরম সাফল্য

  • Reporter Name
  • আপডেট : ০২:৪৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২ জন দেখেছে

প্রেম স্রষ্টার সৃষ্টির মূল উদ্দীপক। প্রেম বিশ্বজগতের চালিকা শক্তি। প্রেম সৃষ্টির শৃঙ্খলার প্রভাবক এবং প্রেমই জীবনে সফলতার নিয়ামক। নবীপ্রেম প্রভুপ্রেমের মূল উপকরণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—তোমরা যদি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১) নবীজি (সা.)-এর ভালোবাসার পূর্ণতা হলো আহলে বাইতের ভালোবাসা, যা আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন, ‘বলো—আমি তোমাদের কাছে কোনো বিনিময় চাই না, চাই শুধু আমার স্বজনদের প্রতি ভালোবাসা।’ (সুরা-৪২ শুরা, আয়াত: ২৩)

‘কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে ৬২ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবারে হজরত হোসাইন (রা.) শাহাদত বরণ করেছিলেন। মানবতার ইতিহাসে এটি মহা বিয়োগান্ত ঘটনা। কারবালা যেন আরবি ‘কারব ও বালা’ এর সরল রূপে পরিণত। ‘কারব’ মানে সংকট, ‘বালা’ মানে মসিবত। তাই ‘কারবালা’ সংকট ও মসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারবালার এই হৃদয়বিদারক ঘটনা মহিমাময় মহররম মাসের ঐতিহাসিক মহান আশুরার দিনে সংঘটিত হওয়ায় তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এতে এই শাহাদাতের মাহাত্ম্য যেমন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি আশুরা পেয়েছে ইতিহাসে নতুন পরিচিতি। আজ আশুরা ও কারবালা বা কারবালা ও আশুরা সমার্থক ও একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমগ্র পৃথিবীতে যেদিন পরিপূর্ণ রূপে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো নিষ্পাপ শিশু ও অবলা নারীর ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘিত না হবে, সত্য ও সুন্দরের জয় হবে, অবনমিত হবে জালিমের খড়্গ, মানুষ পাবে তার বাক্‌স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার, প্রতিষ্ঠিত হবে সুষম সমাজব্যবস্থা, যা হবে ইসলামের মর্মার্থ ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’র মূর্ত প্রতীক; সেদিনই হবে কারবালার প্রায়শ্চিত্ত। সার্থক হবে নবীর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মদান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গড়াই নদে ভাসছে কুমির, দুই পাড়ে ‘আতঙ্ক’ নিয়ে উৎসুক জনতার ভিড়

শাহাদাতে কারবালা ইমানের পরীক্ষার চরম সাফল্য

আপডেট : ০২:৪৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রেম স্রষ্টার সৃষ্টির মূল উদ্দীপক। প্রেম বিশ্বজগতের চালিকা শক্তি। প্রেম সৃষ্টির শৃঙ্খলার প্রভাবক এবং প্রেমই জীবনে সফলতার নিয়ামক। নবীপ্রেম প্রভুপ্রেমের মূল উপকরণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—তোমরা যদি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১) নবীজি (সা.)-এর ভালোবাসার পূর্ণতা হলো আহলে বাইতের ভালোবাসা, যা আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন, ‘বলো—আমি তোমাদের কাছে কোনো বিনিময় চাই না, চাই শুধু আমার স্বজনদের প্রতি ভালোবাসা।’ (সুরা-৪২ শুরা, আয়াত: ২৩)

‘কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে ৬২ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবারে হজরত হোসাইন (রা.) শাহাদত বরণ করেছিলেন। মানবতার ইতিহাসে এটি মহা বিয়োগান্ত ঘটনা। কারবালা যেন আরবি ‘কারব ও বালা’ এর সরল রূপে পরিণত। ‘কারব’ মানে সংকট, ‘বালা’ মানে মসিবত। তাই ‘কারবালা’ সংকট ও মসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারবালার এই হৃদয়বিদারক ঘটনা মহিমাময় মহররম মাসের ঐতিহাসিক মহান আশুরার দিনে সংঘটিত হওয়ায় তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এতে এই শাহাদাতের মাহাত্ম্য যেমন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি আশুরা পেয়েছে ইতিহাসে নতুন পরিচিতি। আজ আশুরা ও কারবালা বা কারবালা ও আশুরা সমার্থক ও একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমগ্র পৃথিবীতে যেদিন পরিপূর্ণ রূপে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো নিষ্পাপ শিশু ও অবলা নারীর ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘিত না হবে, সত্য ও সুন্দরের জয় হবে, অবনমিত হবে জালিমের খড়্গ, মানুষ পাবে তার বাক্‌স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার, প্রতিষ্ঠিত হবে সুষম সমাজব্যবস্থা, যা হবে ইসলামের মর্মার্থ ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’র মূর্ত প্রতীক; সেদিনই হবে কারবালার প্রায়শ্চিত্ত। সার্থক হবে নবীর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মদান।