Hi

ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের অভিযানে মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার ১

ঝিনাইদহের হলিধানী গ্রামে গড়ে ওঠা সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে এক মায়ের সংবাদ সম্মেলনের পরই পুলিশের তৎপরতায় এই মামলার প্রধান আসামির ছেলে ও অন্যতম আসামি ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে রোববার (১জুন) ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে পাঁচ যুবককে কম্বোডিয়ায় বিক্রির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হালিমা খাতুন। সেখানে তিনি জানান, তাঁর সন্তানসহ পাঁচ যুবককে থাইল্যান্ডে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি সাত লক্ষ টাকা করে মোট ৩৫ লক্ষ টাকা নেয় একটি পাচারকারী চক্র। পরে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কম্বোডিয়ায় পাঠিয়ে স্ক্যাম্প নামক এক চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ অভিযানে নামে এবং মামলার আসামি ফজলুল করিম ফয়জুলের ছেলে ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করে। আজ সোমবার (২৩ জুন) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার বাদী হালিমা খাতুন জানান, তার সন্তানসহ বাকিরা বর্তমানে কম্বোডিয়ায় অমানবিক শ্রমে নিয়োজিত এবং সেখানে প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কথা না শুনলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন বলেন, আমরা গরিব মানুষ, ধারদেনা করে ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়েছি। এখন তাদের প্রাণে বাঁচানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মানব পাচার চক্রের মূলহোতা ফজলুল করিম ফয়জুল, তাঁর স্ত্রী জাহানারা খাতুন, পুত্রবধূ তারানা হক রথী এবং গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে পিটিশন নং ৫১/২০২৫ অনুযায়ী একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয়

অধিগ্রহন সম্পন্ন না করেই মালিকানা জমিতে সরকারি অফিস নির্মাণ করছে কালীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস।

সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের অভিযানে মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার ১

আপডেট : ০৯:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের হলিধানী গ্রামে গড়ে ওঠা সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে এক মায়ের সংবাদ সম্মেলনের পরই পুলিশের তৎপরতায় এই মামলার প্রধান আসামির ছেলে ও অন্যতম আসামি ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে রোববার (১জুন) ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে পাঁচ যুবককে কম্বোডিয়ায় বিক্রির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হালিমা খাতুন। সেখানে তিনি জানান, তাঁর সন্তানসহ পাঁচ যুবককে থাইল্যান্ডে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি সাত লক্ষ টাকা করে মোট ৩৫ লক্ষ টাকা নেয় একটি পাচারকারী চক্র। পরে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কম্বোডিয়ায় পাঠিয়ে স্ক্যাম্প নামক এক চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ অভিযানে নামে এবং মামলার আসামি ফজলুল করিম ফয়জুলের ছেলে ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করে। আজ সোমবার (২৩ জুন) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার বাদী হালিমা খাতুন জানান, তার সন্তানসহ বাকিরা বর্তমানে কম্বোডিয়ায় অমানবিক শ্রমে নিয়োজিত এবং সেখানে প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কথা না শুনলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন বলেন, আমরা গরিব মানুষ, ধারদেনা করে ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়েছি। এখন তাদের প্রাণে বাঁচানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মানব পাচার চক্রের মূলহোতা ফজলুল করিম ফয়জুল, তাঁর স্ত্রী জাহানারা খাতুন, পুত্রবধূ তারানা হক রথী এবং গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে পিটিশন নং ৫১/২০২৫ অনুযায়ী একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।