Hi

ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ট্রাক চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ।

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন একটি পুকুরপাড়ে বটগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মধু হোসেন (২৮) নামে এক ট্রাকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মধু হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের হীরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বিল্লাল হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পুকুরপাড়ে হাঁটতে গিয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মধুর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মধুর ছোট ভাই পরশ হোসেন জানান, পেশায় ট্রাকচালক মধু গত কয়েক মাস ধরে বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যে ছিলেন। এ কারণে গত ২-৩ মাস ধরে তিনি বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন না। সোমবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মধু বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে, তোরা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিস।”

পরিবারের সদস্যদের মতে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মধু তার মামাতো ভাই রমজান হোসেনের সঙ্গে ছিলেন। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অধিগ্রহন সম্পন্ন না করেই মালিকানা জমিতে সরকারি অফিস নির্মাণ করছে কালীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস।

ঝিনাইদহে ট্রাক চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ।

আপডেট : ০৯:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন একটি পুকুরপাড়ে বটগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মধু হোসেন (২৮) নামে এক ট্রাকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মধু হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের হীরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বিল্লাল হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পুকুরপাড়ে হাঁটতে গিয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মধুর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মধুর ছোট ভাই পরশ হোসেন জানান, পেশায় ট্রাকচালক মধু গত কয়েক মাস ধরে বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যে ছিলেন। এ কারণে গত ২-৩ মাস ধরে তিনি বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন না। সোমবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মধু বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে, তোরা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিস।”

পরিবারের সদস্যদের মতে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মধু তার মামাতো ভাই রমজান হোসেনের সঙ্গে ছিলেন। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।