Hi

ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোলারচালিত ভূগর্ভস্থ সেচ ব্যবস্থায় কৃষিতে নতুন দিগন্ত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কৃষি খাতে এসেছে প্রযুক্তিনির্ভর এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এখানকার একদল উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা এবার কৃষি জমিতে প্রবর্তন করেছেন সোলারচালিত ভূগর্ভস্থ পাইপ সেচ ব্যবস্থা, যা কৃষিকাজে সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক।

মাটির উপর দিয়ে খোলা ড্রেনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ছিল এই অঞ্চলের প্রচলিত সেচ পদ্ধতি। কিন্তু এতে পানি অপচয়, সময় ও পরিশ্রম—তিনটিই ছিল বেশি। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে কোটচাঁদপুরের কয়েকজন উদ্যোক্তা—মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ মশিউর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম—নিয়ে এসেছেন এই আধুনিক সেচ পদ্ধতি।

এই ব্যবস্থায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে নির্দিষ্ট পানির উৎস থেকে পানি তোলা হচ্ছে, এবং তা মাটির নিচ দিয়ে স্থাপিত পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি কৃষি জমিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

উদ্যোক্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, “আগে সেচ দিতে গিয়ে অনেক পানি নষ্ট হতো, জমিতে সমভাবে পৌঁছাতো না। এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে সহজে, দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে পানি দেওয়া যাচ্ছে।”

মোঃ মশিউর রহমান জানান, “বিদ্যুৎ খরচ নেই বললেই চলে, কারণ আমরা সোলার ব্যবহার করছি। ফলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।”

এছাড়াও শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই এ প্রযুক্তি আরও ছড়িয়ে পড়ুক। এতে শুধু কৃষকই নয়, পুরো এলাকার কৃষি উৎপাদন বাড়বে।”

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই সেচ পদ্ধতি দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা পেলে এটি দ্রুত আরও বিস্তৃত করা সম্ভব।

এই উদ্যোগ কোটচাঁদপুরের কৃষিতে শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারের দৃষ্টান্তই নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

সোলারচালিত ভূগর্ভস্থ সেচ ব্যবস্থায় কৃষিতে নতুন দিগন্ত

আপডেট : ০২:৪২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কৃষি খাতে এসেছে প্রযুক্তিনির্ভর এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এখানকার একদল উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা এবার কৃষি জমিতে প্রবর্তন করেছেন সোলারচালিত ভূগর্ভস্থ পাইপ সেচ ব্যবস্থা, যা কৃষিকাজে সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক।

মাটির উপর দিয়ে খোলা ড্রেনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ছিল এই অঞ্চলের প্রচলিত সেচ পদ্ধতি। কিন্তু এতে পানি অপচয়, সময় ও পরিশ্রম—তিনটিই ছিল বেশি। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে কোটচাঁদপুরের কয়েকজন উদ্যোক্তা—মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ মশিউর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম—নিয়ে এসেছেন এই আধুনিক সেচ পদ্ধতি।

এই ব্যবস্থায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে নির্দিষ্ট পানির উৎস থেকে পানি তোলা হচ্ছে, এবং তা মাটির নিচ দিয়ে স্থাপিত পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি কৃষি জমিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

উদ্যোক্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, “আগে সেচ দিতে গিয়ে অনেক পানি নষ্ট হতো, জমিতে সমভাবে পৌঁছাতো না। এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে সহজে, দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে পানি দেওয়া যাচ্ছে।”

মোঃ মশিউর রহমান জানান, “বিদ্যুৎ খরচ নেই বললেই চলে, কারণ আমরা সোলার ব্যবহার করছি। ফলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।”

এছাড়াও শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই এ প্রযুক্তি আরও ছড়িয়ে পড়ুক। এতে শুধু কৃষকই নয়, পুরো এলাকার কৃষি উৎপাদন বাড়বে।”

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই সেচ পদ্ধতি দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা পেলে এটি দ্রুত আরও বিস্তৃত করা সম্ভব।

এই উদ্যোগ কোটচাঁদপুরের কৃষিতে শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারের দৃষ্টান্তই নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।