Hi

ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি কাদা পেরিয়ে মসজিদে ৪০ দিন জামায়াতে নামাজ আদায়, ১৫ জন পেল পুরস্কার

  • এস এম শিমুল
  • আপডেট : ১১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • ১০৬ জন দেখেছে

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটির বংকিরা (পশ্চিমপাড়া) এলাকার সায়াদাতিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ধর্মীয় সম্মাননা অনুষ্ঠান। ২৫ জুলাই শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি, কাদা ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ৪০ দিন বা ২০০ ওয়াক্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করেছে। তাদের এই শৃঙ্খলা, অনুশাসন ও ধর্মীয় নিষ্ঠাকে সম্মান জানাতে ৫ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল এবং আরও ১০ জনকে জায়নামাজ, টুপি ও মেসওয়াক উপহার দেওয়া হয়।

বাইসাইকেলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন মোঃ নাহিদ ইসলাম, মোঃ সজিব হোসেন, মোঃ রাব্বি হাসান, মোঃ সাব্বির হোসেন এবং মোঃ শাহিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হায়দার আলী জোয়ারদার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান। উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, অর্থ সম্পাদক হামিদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান। তিনি বলেন, “বর্তমানে শিশু-কিশোররা মোবাইল ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা চাই তারা মসজিদমুখী হোক, নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহী হোক। এই উপহারের মাধ্যমে আমরা তাদের উৎসাহিত করতে চেয়েছি। তারা খুশি হয়েছে, আমরাও আশাবাদী যে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল বলেন, “বর্তমান সময়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে মূল্যবোধের অভাব ও প্রযুক্তি আসক্তি উদ্বেগজনক। এই ধরনের ধর্মীয় ও নৈতিক উদ্যোগ সমাজে আলোর পথ দেখাবে। দেশের প্রতিটি মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যদি এমন কার্যক্রম গ্রহণ করে, তাহলে একটি আদর্শ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

এলাকাবাসীরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “শিশু-কিশোরদের সঠিক পথে রাখার জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের প্রতিটি এলাকায় যদি এমন কার্যক্রম চালু হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধর্মীয় ও নৈতিকভাবে সুগঠিত হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণের মাধ্যমে এ মহতী আয়োজনের সমাপ্তি হয়।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

বৃষ্টি কাদা পেরিয়ে মসজিদে ৪০ দিন জামায়াতে নামাজ আদায়, ১৫ জন পেল পুরস্কার

আপডেট : ১১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটির বংকিরা (পশ্চিমপাড়া) এলাকার সায়াদাতিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ধর্মীয় সম্মাননা অনুষ্ঠান। ২৫ জুলাই শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি, কাদা ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ৪০ দিন বা ২০০ ওয়াক্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করেছে। তাদের এই শৃঙ্খলা, অনুশাসন ও ধর্মীয় নিষ্ঠাকে সম্মান জানাতে ৫ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল এবং আরও ১০ জনকে জায়নামাজ, টুপি ও মেসওয়াক উপহার দেওয়া হয়।

বাইসাইকেলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন মোঃ নাহিদ ইসলাম, মোঃ সজিব হোসেন, মোঃ রাব্বি হাসান, মোঃ সাব্বির হোসেন এবং মোঃ শাহিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হায়দার আলী জোয়ারদার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান। উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, অর্থ সম্পাদক হামিদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান। তিনি বলেন, “বর্তমানে শিশু-কিশোররা মোবাইল ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা চাই তারা মসজিদমুখী হোক, নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহী হোক। এই উপহারের মাধ্যমে আমরা তাদের উৎসাহিত করতে চেয়েছি। তারা খুশি হয়েছে, আমরাও আশাবাদী যে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল বলেন, “বর্তমান সময়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে মূল্যবোধের অভাব ও প্রযুক্তি আসক্তি উদ্বেগজনক। এই ধরনের ধর্মীয় ও নৈতিক উদ্যোগ সমাজে আলোর পথ দেখাবে। দেশের প্রতিটি মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যদি এমন কার্যক্রম গ্রহণ করে, তাহলে একটি আদর্শ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

এলাকাবাসীরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “শিশু-কিশোরদের সঠিক পথে রাখার জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের প্রতিটি এলাকায় যদি এমন কার্যক্রম চালু হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধর্মীয় ও নৈতিকভাবে সুগঠিত হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণের মাধ্যমে এ মহতী আয়োজনের সমাপ্তি হয়।