Hi

ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঠ প্রশাসনে বড় রদবদল: একযোগে শতাধিক কর্মকর্তার পদায়ন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে শুরু হয়েছে বড় ধরনের রদবদল। প্রশাসনিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং দায়িত্ব পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে একযোগে ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন পদে শতাধিক কর্মকর্তাকে পদায়ন ও দায়িত্ব প্রদান করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি জারি করা একাধিক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইউএনও আশিক খান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএমএন জামিউল হিকমা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম এবং বিইপিআরসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাহমুদুর রহমানকে ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়সাল রায়হানকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে এসি ল্যান্ড হিসেবে পদায়নের জন্য যাদের ন্যস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন হুমায়রা সুলতানা (মতিঝিল), মাইফুল হুদা (বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর), আল এমরান খান (চাঁদপুর সদর), কাজী তাহমিনা সারমিন (আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আরাফাত হোসেন (ডুমুরিয়া, খুলনা) এবং নূরজাহান আক্তার সাথী (ঘিওর, মানিকগঞ্জ)।

রংপুর বিভাগের জন্যও একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে উম্মে কুলসুম রুবি, ফারজানা আখতার, সেগুফতা মেহনাজ, সাইদুজ্জামান হিমু, নূরুল আমিন, অভিজিত চৌধুরী, মারুফ দস্তগীর, মো. আতিয়া খাতুন, সিফাত বিন সাদেক, খাদিজা খাতুন ও রোকসানা খাইরুন নেছাকে বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগের অধীনেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নতুনভাবে পদায়ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রায়হানুল ইসলাম (দেবীদ্বার, কুমিল্লা), অমিত দত্ত (তালতলী, বরগুনা), মাহবুব আলম মাহবুব (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ), শাহীন দেলোয়ার (নবীগঞ্জ), সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম (বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী), গোলাম সারওয়ার (কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) এবং মোহাম্মদ ইউসুফ (শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার)।

একই দিনে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ২২ জন কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্বে পদায়নের জন্য পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ তালিকায় রয়েছেন সাইফুল ইসলাম (আদিতমারি, লালমনিরহাট), রিফাত আরা (মহাদেবপুর, নওগাঁ), শিল্পী রানি মোদক (বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ), তারেক হাসান (আমতলী, বরগুনা), আব্দুল্লাহ আবু জাহের (বরগুনা সদর), তাছবীর হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), তাসনিমুজ্জামান (শিবগঞ্জ, বগুড়া), আসাদুজ্জামান (গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা), এসএম আব্দুল্লাহ বিন শফিক (সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ), মকবুল হোসেন (টাঙ্গাইল), আমিনুল ইসলাম (পাংশা, রাজবাড়ী), লিজা আক্তার বীথি (দুপচাচিয়া, বগুড়া), রুনাল্ট চাকমা (চিরিরবন্দর, দিনাজপুর), শামীমা আফরোজ মারলিজ (রাহাট্টা, নেত্রকোনা), আবিদা সিফাত (সাপাহার, নওগাঁ), মাসুদুর রহমান রুবেল (রায়পুরা, নরসিংদী), এসএম আশিস মোমতাজ (চুয়াডাঙ্গা সদর), মেহেদী হাসান শাকিল (চাটমোহর, পাবনা), শওকত মেহেদী সেতু (শার্শা, যশোর), মাসুদুর রহমান (সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা), সালেক আহমেদ (মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি) এবং নাজমুল হাসান (আমিনবাজার, ঢাকা)।

জনপ্রশাসনের এই রদবদলকে কেন্দ্র করে মাঠ প্রশাসনে নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সক্রিয় ও সমন্বিত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

মাঠ প্রশাসনে বড় রদবদল: একযোগে শতাধিক কর্মকর্তার পদায়ন

আপডেট : ০৩:৪৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে শুরু হয়েছে বড় ধরনের রদবদল। প্রশাসনিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং দায়িত্ব পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে একযোগে ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন পদে শতাধিক কর্মকর্তাকে পদায়ন ও দায়িত্ব প্রদান করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি জারি করা একাধিক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইউএনও আশিক খান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএমএন জামিউল হিকমা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম এবং বিইপিআরসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাহমুদুর রহমানকে ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়সাল রায়হানকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে এসি ল্যান্ড হিসেবে পদায়নের জন্য যাদের ন্যস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন হুমায়রা সুলতানা (মতিঝিল), মাইফুল হুদা (বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর), আল এমরান খান (চাঁদপুর সদর), কাজী তাহমিনা সারমিন (আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আরাফাত হোসেন (ডুমুরিয়া, খুলনা) এবং নূরজাহান আক্তার সাথী (ঘিওর, মানিকগঞ্জ)।

রংপুর বিভাগের জন্যও একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে উম্মে কুলসুম রুবি, ফারজানা আখতার, সেগুফতা মেহনাজ, সাইদুজ্জামান হিমু, নূরুল আমিন, অভিজিত চৌধুরী, মারুফ দস্তগীর, মো. আতিয়া খাতুন, সিফাত বিন সাদেক, খাদিজা খাতুন ও রোকসানা খাইরুন নেছাকে বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগের অধীনেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নতুনভাবে পদায়ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রায়হানুল ইসলাম (দেবীদ্বার, কুমিল্লা), অমিত দত্ত (তালতলী, বরগুনা), মাহবুব আলম মাহবুব (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ), শাহীন দেলোয়ার (নবীগঞ্জ), সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম (বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী), গোলাম সারওয়ার (কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) এবং মোহাম্মদ ইউসুফ (শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার)।

একই দিনে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ২২ জন কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্বে পদায়নের জন্য পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ তালিকায় রয়েছেন সাইফুল ইসলাম (আদিতমারি, লালমনিরহাট), রিফাত আরা (মহাদেবপুর, নওগাঁ), শিল্পী রানি মোদক (বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ), তারেক হাসান (আমতলী, বরগুনা), আব্দুল্লাহ আবু জাহের (বরগুনা সদর), তাছবীর হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), তাসনিমুজ্জামান (শিবগঞ্জ, বগুড়া), আসাদুজ্জামান (গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা), এসএম আব্দুল্লাহ বিন শফিক (সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ), মকবুল হোসেন (টাঙ্গাইল), আমিনুল ইসলাম (পাংশা, রাজবাড়ী), লিজা আক্তার বীথি (দুপচাচিয়া, বগুড়া), রুনাল্ট চাকমা (চিরিরবন্দর, দিনাজপুর), শামীমা আফরোজ মারলিজ (রাহাট্টা, নেত্রকোনা), আবিদা সিফাত (সাপাহার, নওগাঁ), মাসুদুর রহমান রুবেল (রায়পুরা, নরসিংদী), এসএম আশিস মোমতাজ (চুয়াডাঙ্গা সদর), মেহেদী হাসান শাকিল (চাটমোহর, পাবনা), শওকত মেহেদী সেতু (শার্শা, যশোর), মাসুদুর রহমান (সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা), সালেক আহমেদ (মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি) এবং নাজমুল হাসান (আমিনবাজার, ঢাকা)।

জনপ্রশাসনের এই রদবদলকে কেন্দ্র করে মাঠ প্রশাসনে নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সক্রিয় ও সমন্বিত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।