Hi

ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি

ঝিনাইদহে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকূপা উপজেলায় সবজি ক্ষেত, ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান ডুবে গেছে।

বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক এখনও জমিতে নতুন করে ধান রোপণ করতে পারছেন না।

সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমার দুই বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানি কবে নামবে জানি না। পানি নেমে গেলে আবারও ধানের চারা রোপণ করতে হবে। কিন্তু এখন চারা পাব কোথায়?”

কোটচাঁদপুরের কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, “টানা বৃষ্টিতে আমার এক বিঘা জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপণ করলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে।”

মহেশপুরের রমজান আলী বলেন, “আমারসহ অনেক কৃষকের জমি ডুবে আছে। চিন্তার ভাজ কপালে—এই বছর আমন ধান আদৌ ঘরে তুলতে পারব কিনা জানি না।”

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় বলেন, “কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, বাকি অংশেও কাজ চলছে।”

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণে শিক্ষা অফিসারদের চাঁদাবাজী

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি

আপডেট : ১১:৪৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

ঝিনাইদহে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকূপা উপজেলায় সবজি ক্ষেত, ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান ডুবে গেছে।

বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক এখনও জমিতে নতুন করে ধান রোপণ করতে পারছেন না।

সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমার দুই বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানি কবে নামবে জানি না। পানি নেমে গেলে আবারও ধানের চারা রোপণ করতে হবে। কিন্তু এখন চারা পাব কোথায়?”

কোটচাঁদপুরের কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, “টানা বৃষ্টিতে আমার এক বিঘা জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপণ করলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে।”

মহেশপুরের রমজান আলী বলেন, “আমারসহ অনেক কৃষকের জমি ডুবে আছে। চিন্তার ভাজ কপালে—এই বছর আমন ধান আদৌ ঘরে তুলতে পারব কিনা জানি না।”

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় বলেন, “কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, বাকি অংশেও কাজ চলছে।”

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।